বর্ষাকালে বাচ্চাদের টাইফয়েড জ্বরের লক্খন ও প্রতিকার সময়থাকতে সঠিক পদ্ধতি অবল্মন করুন।

 বর্ষাকালে বাড়ে টাইফয়েড-ডায়রিয়া,কলেরা সময়থাকতে সঠিক পদ্ধতি অবল্মন করুনঃ 

 বর্ষাকালের সন্ধ্যায় গরম গরম ধোঁয়া ওঠা চা বা কফি সঙ্গে পাকোড়া, চাট বা সিঙ্গারা খেতে মন চায়। সন্ধ্যা হলেই এসব খাবার যেন আকৃষ্ট করে। এই মরশুমে এসব খাবার থেকে নিজেকে আটকানো খুবই কঠিন ব্যাপার। বর্ষাকালে এসব খাওয়ার ইচ্ছা শক্তি বেরে যায় । স্বাভাবিকভাবেই এই সময় আমাদের খাদ্যাভাসের পরিবর্তন হয়। এই সময় সামান্য অসাবধানতাও পেট সংক্রান্ত ও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন থাকতে হবে।

আয়ুর্বেদ অনুসারে, বর্ষাকালে যে রোগগুলি বেড়ে ওঠে তা থেকে বাঁচার রহস্য লুকিয়ে আছে আমাদের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যেই। বর্ষায় আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়, এমন অবস্থায় বেশি ভাজা-ভুজি, মশলাদার খাবার খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো সমস্যাগুলি বাড়তে পারে। আপনিও যদি এই সমস্যায়   জর্জজরিত হন, তাহলে জেনে নিন বর্ষাকালে কোন খাবারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে


রাস্তার খাবার-

 অনেক সময় ফুচকা, চাট, ভেল পুরির মতো জিনিস তৈরির সময় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয় না। আবার কখনও কখনও এরজন্য দূষিত জলও ব্যবহার করা হয়। এসব খাবার টাইফয়েডের ঝুঁকি বারায়। একইভাবে, এতে ব্যবহৃত চাটনি এবং সসগুলি প্রায়শই খোলা পাত্রে রাখা হয় এবং কখনও কখনও বাসিও পরিবেশন করা হয়। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খতিকর ও সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে। যদি এমন কিছু খেতে ভালো লাগে, তাহলে পরিষ্কার জায়গা থেকে খান।


ভাজাভুজি এবং মশলাদার খাবার-


 এই সময় ভাজাভুজি এবং মশলাদার খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি ও ত্বক সম্পর্কিত সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের খাবার হজম করাও কঠিন, বিশেষ করে বর্ষাকালে। এগুলি আমাদের শরীরে মেটাবলিজম কমিয়ে দেয়। খাবার ঠিকমতো হজম হয় না সারাদিন অলসতার অনুভূতি হয়। এছাড়াও এই ধরনের জিনিস বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমানবেড়ে যায়, যা হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করতে পারে। এসব এড়াতে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন। যেমন- হালকা ও সহজপাচ্য খাবারের মধ্যে কিছু জনপ্রিয় বিকল্প হতে পারে:
যেমন :
1. ডাল, চিড়ে
2. দই ও ফল
3. বুটের খিচুড়ি
4. সূপ
5. ওটস পোরিজ

ঠাণ্ডা খাবার এবং পানীয়-


 এই মরশুমে আইসক্রিম, কোল্ড ডিঙ্ক, কোল্ড কফি, দই ফুচকা ইত্যাদি ঠাণ্ডা জিনিস খাওয়া ও পান করা থেকে বিরত থাকুন। ঠাণ্ডা খাবার খেলে যেমন শ্বাসকষ্ট হতে পারে, তেমনি জ্বরসর্দি-কাশিও হতে পারে। এমন আবহাওয়ায় পরিপাকতন্ত্রের উন্নতির জন্য হালকা গরম জল পান করুন। ও সরির সুত্থ রাখুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url